✈️ ফ্লাইট বন্ধের পেছনের সম্ভাব্য কারণ
১. লোড ফ্যাক্টর ও যাত্রীসংখ্যা কম
বিমান কর্তৃপক্ষ ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ঢাকা-নারিতা রুট চালু করে। প্রাথমিক উত্তেজনা থাকলেও ধীরে ধীরে যাত্রীসংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে।
একটি দীর্ঘ ফ্লাইট (প্রায় ৮ ঘণ্টা) হওয়ায় এর খরচ অনেক বেশি।
বিমান প্রতিযোগিতামূলক ভাড়া দিতে ব্যর্থ হয়, যেখানে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স, ক্যাথে প্যাসিফিক বা জাল এয়ারওয়েজ অনেক ভালো সার্ভিস দিয়ে থাকে।
২. বাণিজ্যিক পরিকল্পনার ঘাটতি
রুট চালুর আগে সম্ভাব্য বাজার বিশ্লেষণ বা “demand feasibility” যথাযথভাবে হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা জাপানে তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় “ethnic traffic” বা অভিবাসীভিত্তিক যাত্রী চাহিদা বেশি ছিল না।
৩. উড়োজাহাজ ও ক্রু সংকট
ড্রিমলাইনার দিয়ে এই রুট পরিচালিত হলেও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ এবং ক্রু ম্যানেজমেন্ট সমস্যা তৈরি করে।
বিমান বর্তমানে হজ মৌসুমে চাপের মধ্যে রয়েছে, ফলে কম লাভজনক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা কষ্টকর।
🌐 প্রভাব
১. যাত্রীদের জন্য বিকল্প কমে যাওয়া
ঢাকা থেকে সরাসরি জাপান যাওয়ার একমাত্র রাষ্ট্রীয় বিকল্প এটি ছিল। এখন যাত্রীদের সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক বা কুয়ালালামপুর হয়ে সংযোগ ফ্লাইট ধরতে হবে।
২. বিমানের ব্র্যান্ড ইমেজে নেতিবাচক প্রভাব
নতুন আন্তর্জাতিক রুট চালু করে তা কয়েক মাসের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিকল্পনার দুর্বলতা প্রকাশ করে।
আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে।
৩. কৌশলগত ভুল নাকি আর্থিক বাস্তবতা?
অনেকে মনে করেন এটি একটি কৌশলগত ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। অন্যদিকে কেউ কেউ বলেন, বর্তমান আর্থিক বাস্তবতায় লোকসান রুট চালু রাখা বোকার মতো কাজ।
🔍 করণীয় ও সুপারিশ
- বাজার গবেষণা ও ট্রাফিক বিশ্লেষণ করে রুট পরিকল্পনা করা উচিত।
- বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কোড শেয়ার করা যায় কিনা—তা ভেবে দেখা যেতে পারে।
- বাংলাদেশ-জাপান বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নের অংশ হিসেবে সরকারিভাবে রুটটি সমর্থন করা যেত।