রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তাল—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যকে হত্যার ঘটনা ঘিরে দেশজুড়ে চলছে আলোচনা, প্রতিবাদ ও নানা প্রশ্ন। “কে এই সাম্য?”—এই প্রশ্ন এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহলেও ঘুরপাক খাচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাস্টার্সের ছাত্র সাম্য ছিলেন ছাত্রদলের স্যার এ এফ রহমান হল শাখার সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক। সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার বাসিন্দা এই তরুণ রাজনীতির পাশাপাশি লেখালেখি এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও ছিলেন সক্রিয়।
গত ১৩ মে গভীর রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে ছুরিকাঘাতে আহত হন সাম্য। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিএনপির পক্ষ থেকে এই হত্যাকাণ্ডকে ‘রাজনৈতিক টার্গেট কিলিং’ বলে দাবি করা হয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “সাম্য’র মতো সচেতন ও প্রতিবাদী তরুণদের কণ্ঠ রোধ করতেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।” তিনি দাবি করেন, সাম্য সম্প্রতি শাহবাগে জাতীয় সংগীত বন্ধের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন, যা হয়তো তার উপর হামলার অন্যতম কারণ হতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসজুড়ে ইতোমধ্যে ছাত্রদল ও বিএনপি-সমর্থিত ছাত্রদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দ্রুত তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।
এদিকে, সাধারণ শিক্ষার্থীরাও সামাজিক মাধ্যমে সাম্য হত্যার ন্যায়বিচার চেয়ে নানা পোস্ট দিচ্ছেন। “একজন শিক্ষার্থী ও নাগরিক হিসেবে সাম্য তার মত প্রকাশের অধিকার প্রয়োগ করেছিল—সেটিই কি তার অপরাধ?”—জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী।
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তাধীন। এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, তবে সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করতে কাজ চলছে।
শাহরিয়ার আলম সাম্য এখন শুধু একজন ছাত্রনেতা নয়, মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রশ্নে একটি প্রতীকে পরিণত হয়েছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
আপনি চাইলে এই খবরে আরও বিশ্লেষণ বা বক্তব্য যুক্ত করতে পারেন। বলুন কী যোগ করতে চান।